পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। সংস্থার ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগের পটভূমি
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সম্প্রতি শেখ হাসিনা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক তদন্ত পরিচালনা করেছে। ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম সামনে আসে। তদন্তে জানা যায়, তার নামে থাকা হংকং এবং কেম্যান আইল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পাচার করা হয়েছে। বিশেষভাবে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনের ব্যাংকগুলিতে অর্থ স্থানান্তরের তথ্য উঠে এসেছে।
এফবিআই তদন্তে এই ঘটনায় গুরুতর আর্থিক অনিয়ম এবং মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পেয়েছে, এবং তারা ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি
এদিকে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুরসহ ৮টি প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদক এর আগে ১৭ ডিসেম্বর এই ব্যাপারে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগের প্রতিবেদন
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন নামের একটি সংস্থা দাবি করেছে, তারা তথ্য পেয়েছে যে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করেছেন। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার দুর্নীতি হয়েছে, যার মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ বিদেশে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এছাড়া, কিছু সূত্রের দাবি, টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার মা শেখ রেহানা মিলিতভাবে পাচারের ৩০ শতাংশ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
দুদকের প্রতিক্রিয়া
দুদক জানিয়েছে, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন বা কোন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখবে, এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।